সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
সন্তানকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারালেন মায়ের

সন্তানকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারালেন মায়ের

। শরীয়তপুর প্রতিনিধি: একটু পর পর এদিক ওদিক করে তাকিয়ে খুঁজে বেরাছেন ৷ ছয় মাসের শিশু সাদ রাইয়ান।কিন্তু শিশু বাচ্চাটি তো জানে না, তার মা এই পৃথিবীতে নেই, সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার মা। শিশুটির মা হালিমা তুজ সাদিয়া বয়স (১৮)। যে বয়সে রাইয়ানের মায়ের কোলে খেলার কথা সে বয়সে মা হারা হয়ে গেলো শিশুটি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শুবচনী বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া বালিকুড়ি এলাকার লাল মিয়া শিকদারের ছেলে রায়হান শিকদারের সঙ্গে বিয়ে হয় মাছুয়াখালি এলাকার বাবা-মা হারা হালিমা তুজ সাদিয়ার। ৬ মাস আগে তাদের সংসারে জন্ম নেয় সাদ রাইয়ান নামের এক ছেলে সন্তান। সম্প্রতি শিশুটির হাতে চুলকানি দেখা দিলে স্থানীয় নাগেরপাড়া বাজারে পল্লি চিকিৎসক দেখানো হয়। এরপরও ভালো না হলে বৃহস্পতিবার সকালে বাবা রায়হান শিকদার ও মা হালিমা তুজ সাদিয়া রাইয়ানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে শুবচনী বাজারে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে একটি গুইসাপ রাস্তা পার হওয়ার সময় ভ্যানের সামনের চাকার নিচে পড়লে উল্টে যায় ভ্যানটি। এতে ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে হালিমা গুরুতর আহত হন। পরে হালিমাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক৷ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বামী রায়হান শিকদার আহাজারি করে বলেন, আমার স্ত্রী এভাবে মারা যাবে মেনে নিতে পারছি না। এত তাড়াতাড়ি আল্লাহ আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেলো। আমার ছেলেটি আজ এতিম হয়ে গেলো। ওরে আমি কীভাবে বড় করবো। নিহতের শাশুড়ি মাজেদা বেগম বলেন, বাবা-মা হারা এতিম মেয়েকে ছেলের বউ করে এনেছিলাম। অনেক যত্ন করতো আমাদের। এভাবে মৃত্যু হবে তা কোনো ভাবেই মানতে পারছি না। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। পোস্টমর্টেম ছাড়া আমরা আমাদের ছেলের বউয়ের মরদেহ বাসায় নিয়ে মাটি দিতে চাই। ভ্যানচালক মন্নান হোসেন বলেন, ‘রানিং গাড়ি চালাইতেছিলাম। হঠাৎ কইরা একটা গুইল সাপ আমার গাড়ির সামনের চাক্কার নিচে পড়লে গাড়ি উল্টাইয়া যায়। পরে উনি চাপা পড়েন।’ এ বিষয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম দৈনিক গ্রামীন নিউজ ২৪ বলেন, নাগেরপাড়া থেকে শুবচনী আসার আগে একটি ভ্যান উল্টে এক নারীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com